ঢাকায় পুলিশি অভিযানে নিহত ২

ঢাকায় পুলিশি অভিযানে নিহত ২

ঢাকা প্রতিনিধি,
শেয়ার করুন

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে পূর্ব আশকোনায় পুলিশের এক অভিযানে এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে নিহতরা উগ্রপন্থী জঙ্গি। অভিযান স্থলটি আশকোনা হাজিক্যাম্পের পাশেই রাজধানীর দক্ষিণ খান থানায় অবস্থিত।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে এক ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, এ অভিযানে ২জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছে। এছ্ড়াা চার জন আত্মসমর্পণ করেছেন । আহত অবস্থায় এক শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওই বাসার ভেতরে অসংখ্য তাজা গ্রেনেড, বোমা পড়ে আছে। অভিযান পরিসমাপ্ত হলেও ভেতর থেকে এগুলো পরিষ্কার করার কাজ চলবে।
মন্ত্রী জানান, নিহতদের মধ্যে একজন ‘জঙ্গি’ সুমনের স্ত্রী, তিনি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন। আরেকজন আজিমপুরে নিহত ‘জঙ্গিদের অর্থদাতা’ তানভীর কাদেরীর ছেলে আবির ওরফে আদর।
এই বাসায় অবস্থানকারী মুসার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি মুসা নিজেই ইমতিয়াজ পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেয়। সে হয়ত চলে গেছে, অথবা বাসার বাইরে ছিল। আমরা খুব দ্রুতই তাকে ধরে ফেলবো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভোর থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। দুপুরেই অভিযান শেষ। এখান থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধারসহ যাবতীয় কাজ নিয়ম অনুযায়ী শেষ করা হবে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বেলা সোয়া তিনটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। বেলা চারটার দিকে মন্ত্রী অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যাওয়ার পর বাড়িটিতে পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট প্রবেশ করে। এরপর ক্রাইম সিন ইউনিটও সেখান থেকে আলামত সংগ্রহ করে।
পুলিশ জানায়, অভিযানের আগে শনিবার দুপুরে বাড়িটির ভেতর থেকে দরজা খুলে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটান এক নারী ‘জঙ্গি’। এ সময় তাঁর সঙ্গে এক শিশুও ছিল। আহত শিশুকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) শফিক সামান্য আহত হন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ‘সূর্য ভিলা’ নামের তিনতলা ওই বাড়িটি ঘিরে রাখে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। শনিবার সকালে সেখান থেকে চারজন আত্মসমর্পণ করে। এর মধ্যে রয়েছে দুই নারী যাদেরকে ডিবি (ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ) পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
আশকোনার যেই বাড়িতে অভিযান চালানো হয় সেই বাসার বাড়িওয়ালার মেয়ে জোনাকি রাসেল দাবি করেন, বাসা ভাড়া দেওয়ার পর তিনি বেশ কয়েকবার ওই বাসায় গেছেন। বাসায় ল্যাপটপ, খাট, ড্রেসিং টেবিল, ফ্রিজ দেখেছেন। বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় পরিবারটি জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দিয়েছে, ভাড়াটেসংক্রান্ত ফরম পূরণ করেছে এবং সে ফরম থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। তিনি ভাড়াটেদের কাছ থেকে নেওয়া সব কাগজপত্র পুলিশকে দেন। এরপর পুলিশ চলে যায়।

শেয়ার করুন