ভারতের নোটবাতিলে ক্ষতিগ্রস্ত ভুটানের কমলা রফতানি

ভারতের নোটবাতিলে ক্ষতিগ্রস্ত ভুটানের কমলা রফতানি

এসএএম স্টাফ,
শেয়ার করুন

চলতি বছর ভুটানে উচ্চমানের কমলার ভালো ফলন হয়েছে। এরপরও ভারতের উচ্চ মানের মুদ্রানোট বাতিলের উদ্যোগের কারণে এই ভালো ফলনের সুফল পাওয়া যাবে না বলে আশংকা করছেন ভুটানের ফল রফতানিকারকরা।

কৃষি নির্ভর হিমালয়ান দেশটির রফতানিকারকরা অভিযোগ করেন যে কমলা প্যাক করার জন্য তারা যে বাক্স ব্যবহার করেন ভারতের ব্যবসায়ীরা সেগুলোর দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। ভুটানী মুদ্রা নগুট্রামে ভাড়া পরিশোধ করতে গেলে পরিবহন ব্যবসায়ীরাও বেশি দর হাঁকছেন।
অর্থনীতি থেকে কালো টাকা বিতাড়ণের উদ্যোগ হিসেবে ভারত পুরনো ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল করেছে। ভারতের মুদ্রা রুপি ও ভুটানের নগুট্রামের আর্থিক মূল্যমান সমান।
‘ভারতীয় রুপির ঘাটতি দেখা দেয়ায় ভুটানে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। গত দু’বছর উৎপাদনও ভালো ছিলো না। আর এ বছর ক্ষতি করছে ভারতের মুদ্রা বাতিল,’ ভুটানের কুয়েনসেল পত্রিকাকে এ কথা বলেন রফতানিকারক কিনলে পেনজর।
পানজের এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৫ ট্রাক কমলা রফতানি করেছেন।
ভুটান প্রতিবছর সাধারণত নবেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কমলা রফতানি করে। দেশটির ফল রফতানিকারকদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভাড়া ও ‘অনানুষ্ঠানিক বিল’ ভারতীয় মুদ্রায় পরিশোধ করতে হয়। এসব বিল নগুট্রামে পরিশোধ করা হলে ভারতীয় পরিবহন মালিক ও অন্যান্য বেসরকারি অপারেটররা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি অর্থ দাবি করছে।
আগে গেলেফু কমলা ডিপো থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত কমলা নিয়ে যাওয়ার জন্য ভুটানের রফতানিকারকদের ট্রাকপ্রতি ১৯ হাজার নগুট্রাম দিতে হতো। কিন্তু এবার ট্রাক মালিকরা ২০ হাজার নগুট্রাম দাবি করছে।
ভুটানে বহু মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস হলো কমলার চাষ। গত তিন বছর ধরে কমলার ফলনে মারাত্মক ঘাটতির কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয় তাদের। এ বছর উচ্চ মানসম্পন্ন কমলার ভালো ফলন আশা করছিলেন তারা। কিন্তু এই আশাবাদের মাঝেও ভারতের মুদ্রানোট বাতিলের উদ্যোগ ভুটানী রফতানিকারকদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

print
শেয়ার করুন