আক্রমণাত্মক প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারত?

আক্রমণাত্মক প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারত?

এসএএম রিপোর্ট,
শেয়ার করুন

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশ ভারত সব সময় নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে থেকেছে সচেতন।

স্নায়ুযুদ্ধের পুরো সময় জুড়ে জোট নিরপেক্ষ গোষ্ঠির একটি স্থপতি দেশ হওয়া সত্ত্বেও সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে কৌশলগত প্রতিরক্ষা সম্পৃক্ততা বজায় রেখেছে। বিশেষ সম্পর্ক বজায় রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও। এরমধ্যে যে স্বল্প সময়ে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতিকে বেশ খানিকটা আক্রমণাত্মক বলে মনে হয়েছে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা ও তৎপরতায় ভারত আবার সেই অবস্থার দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রতিরক্ষা ও পারমাণবিক সহায়তা চুক্তি সম্পন্ন করেছে। সর্বশেষ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শক্তি জাপানের সাথে তাৎপর্যপূর্ণ পরমাণু চুক্তি সম্পন্ন করেছে দিল্লি। উন্নত প্রযুক্তির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার চুক্তি সম্পাদন করেছে রাশিয়ার সাথেও। ক্ষুদ্র প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে একের পর এক সামরিক ও নৌ মহড়া শুরু করেছে। এসব প্রস্তুতিতে ধারণা করা হচ্ছে ভারত হয়তো কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রস্তুতি গ্রহণ করছে অথবা অন্য কোনো পক্ষ থেকে এ ধরনের অবস্থা সৃষ্টির আশঙ্কা করছে।
গত ১০ নবেম্বর ভারত এশিয়ার অন্যতম বৃহৎশক্তি গড়তে জাপানের সাথে পরমাণু চুক্তি করেছে । এই চুক্তির ফলে জাপান ভারতে পরমাণু প্রযুক্তি রপ্তানি, পরমাণু কেন্দ্র তৈরির জন্য চুল্লি এবং জ্বালানি রপ্তানি করতে পারবে। নরেন্দ্র মোদির টোকিও সফরকালে এই চুক্তি স্বাক্ষর শেষে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, পরমাণু চুক্তি হয়েছে কেবল মানব উন্নয়নে বা অসামরিক কাজের জন্য। পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না তা এই চুক্তির আলোচ্য বিষয়। অথচ জাপানের এক পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক নাকাতা ইয়ানাশি বলেন, ভারত আগে থেকে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে আসছে। তারা যদি জাপান থেকে নেয়া পরমাণু সংক্রান্ত সুবিধা অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহার করে তাহলে তা বিশ্বের শান্তি রক্ষায় হবে হুমকি স্বরূপ। চীনকে দমাতে কিংবা চীনের প্রতি এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করার জন্য এমন চুক্তি হতে পারে বলে তিনি মনে করছেন। ভারতের পত্র পত্রিকায়ও বলা হচ্ছে চীনকে প্রতিহত করতে জাপানের সাথে দেশটি এই চুক্তি করেছে। শান্তিপূর্ণ শক্তি উৎপাদনে পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য চুক্তি হয়ে থাকলে সেটি দিয়ে চীনকে মোকাবেলার প্রশ্ন কেন আসছে তার অবশ্য কোনো ব্যাখ্যা করা হচ্ছে না।
ভারত এই চুক্তি এমন এক সময় করলো যখন ভিয়েনায় দেশটি আইনী বাধ্যবাধকতা অনুসারে পরমাণু সম্প্রসারণ চুক্তিতে স্বাক্ষর ছাড়াই পরমাণু প্রযুক্তি সরবরাহ (এনএসজি ) গ্রুপে প্রবেশ করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। পরামাণু নিরস্ত্রকরণ প্রকল্প বা এনপিটিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে জাপানই প্রথম পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে এমন দেশের সাথে চুক্তিতে গেল। জাপান এমন এক সময় পরমাণু চুক্তিটি করলো যখন দক্ষিণ সাগরে চীনের নৌ-হুমকি জোরালো হচ্ছে বলে দেশটির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। টোকিওর বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চীনের মেরিটাইম হুমকি রুখতে ভারত বড় ধরনের শক্তি হিসেবে জাপানের পাশে থাকবে। গত বছর জাপান সরকার তাদের সৈন্যদের বিদেশে যুদ্ধে অংশগ্রহণের ‘নিরাপত্তা বিল পাশ’ করেছে। এই আইনের পর জাপানের সামরিক বাহিনী তাদের দেশের বাইরেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারবে।
এশিয়ায় বর্তমান উত্তেজনার একটি বড় কারণ হলো চীনের সম্ভাব্য উত্থান সম্পর্কে ধারণা এবং এই উত্থানকে প্রতিহত করার ব্যাপারে আমেরিকান নানা ধরনের প্রচেষ্টা গ্রহণ। চীনের জ্বালানি সরবরাহের ৮০ শতাংশ আসে দক্ষিণ চীন সাগরের মালাক্কা প্রণালি দিয়ে। চীনের উত্থানকে প্রতিহত করতে এই রুটটিকে নিয়ন্ত্রণের একটি আমেরিকান প্রচেষ্টা রয়েছে বলে বেইজিং মনে করে। গত কয়েক দশকের আমেরিকান কৌশল হলো প্রতিপক্ষকে তার নিজস্ব এলাকার মধ্যে সীমিত করার প্রচেষ্টা গ্রহণ। এ হিসাবে দক্ষিণ চীন সাগরের সন্নিহিত দেশগুলোকে চীনের প্রতিপক্ষ হিসাবে সংগঠিত করে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর একটি ভীতি থেকে দক্ষিণ চীন সাগরের সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে বেশ খানিকটা আগ্রাসি মনোভাব নিয়েছে চীন। যার ফলে সমুদ্র সীমা নিয়ে এই অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি দেশের সাথে চীনের বিরোধ দেখা দেয়। সেনাকুক দ্বীপ নিয়ে বিরোধ চাঙ্গা হয় জাপানের সাথেও। চীন এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সালিশী আদালতের রায়কে গ্রহণ না করে দ্বিপাক্ষিকভাবে সমস্যাটির সমাধানের প্রচেষ্টা নেয়। একই সাথে এশিয়ায় বিকল্প বাণিজ্য ও জ্বালানি রুট তৈরির ব্যাপারে আরো সক্রিয় হয়। এর আওতায় চীন এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সমুদ্র বন্দরে বিনিয়োগে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। এটিকে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা পার্ল অব স্টিং হিসাবে চিহ্নিত করেছে। চীন এর অংশ হিসাবে পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর তৈরি করেছে, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার এবং বাংলাদেশে একই ধরনের বন্দর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এই ধরনের সমুদ্র বন্দর নির্মাণকে ভারত মহাসাগরে চীনের আধিপত্য বিস্তার হিসাবে দেখছে। আর এই এলাকায় চীনা নৌ প্রভাব রুখতে আমেরিকার যে পরিকল্পনা তার সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করার কৌশল নিয়েছে দিল্লি। যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ নৌবহরকে এশিয়ায় নিয়ে আসাকে এই কৌশলের একটি অংশ মনে করা হয় ।
এশিয়ায় এই প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় দুটি নিরাপত্তা বলয় তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যে। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় জাপান-ভারত, অন্য দিকে রয়েছে চীন-পাকিস্তান বলয় যার পেছনে সমর্থন রয়েছে রাশিয়ার। এই দুই বলযের মধ্যে সুপ্ত প্রতিযোগিতা সাম্প্রতিককালে অনেকটা প্রকাশ্য হয়ে পড়েছে কয়েকটি ঘটনায়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো পাকিস্তানের গোয়াদর পোর্ট থেকে চীনের জিংজিয়াংয়ের কাসগড় পর্যন্ত ‘চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর’ নির্মাণে ভারতের তীব্র বিরোধিতা। এটিকে বেইজিং জ্বালানি সরবরাহের একটি বিকল্প রুট এবং প্রাচীন সিল্ক বাণিজ্য রুট হিসাবে গড়ে তুলতে চায়। এই সহাসড়কের সাথে মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূূর্ব এশিয়ার একটি বড় অংশকে যুক্ত করতে চায় বেইজিং। চীনের অগ্রাধিকারের শীর্ষে থাকা এই প্রকল্পের ব্যাপারে দিল্লির বিরোধিতার সাথে সাথে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা দিতে বেলুচিস্তানে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। এই অস্থিরতা তৈরির জন্য ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিতব্য সার্ক শীর্ষ সম্মেলন বন্ধ করে বিকল্প আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা গড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ভারতের এই পদক্ষেপ এবং এর বিপরীতে চীন ও পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া আঞ্চলিক উত্তেজনাকে বাড়িযে তুলেছে। ভারত এই উত্তেজনায় দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশি দেশগুলোকে একটি অভিন্ন বলয়ে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা নিয়েছে। এর অংশ হিসাবে দিল্লি বাংলাদেশ-আফগানিস্তান-ভুটানকে সাথে নিয়ে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন বাতিলের পদক্ষেপ নেবার পর গোয়ায় ব্রিকস সম্মেলনের সময় বিকল্প বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে। এর মাধ্যমে ভারতের প্রাধান্য সম্বলিত একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা করতে চাইছে নয়াদিল্লি।
এরমধ্যে ভারত তার বিভিন্ন বাহিনীর সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টাও করছে। সামরিক শক্তি বাড়াতে সম্প্রতি প্রতিরক্ষা-সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্পে ১০০টি ফাইটার জেট, হেলিকপ্টার ও ৪০০টি ট্যাংক তৈরির প্রজেক্টে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এটি প্রায় ৮২,০০০ কোটি রুপির প্রজেক্ট। পাকিস্তানের সাথে উত্তেজনা এবং চীনের সাথে মতবিরোধ সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে ভারতের ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল এই সিদ্ধান্ত নেয়। এই কাউন্সিলে মোট ৮২টি লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট তেজস এমকে১এ কেনার সিদ্ধান্তও অনুমোদন করা হয়। এটি সবচেয়ে ছোট, একটি মাল্টরোল সুপারসনিক ফাইটার জেট। ভারতীয় বিমান ও নৌসেনার জন্য এই হেলিকপ্টার তৈরি করছে ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি এবং হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লি। এর পাশাপাশি, ১৫টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার কেনার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে একই দিন। ৪৬৪টি টি-৯০ ট্যাংক কেনার বিষয়টিও চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর জন্য আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে পিনাকা মালঈরোল রকেট লঞ্চার।
সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর এই প্রচেষ্টার পাশাপাশি ভারত গ্রহণ করেছে আঞ্চলিক যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরির তৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগ।
বাংলাদেশে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঢাকার সাথে একটি গোপন নিরাপত্তা চুক্তি করে ভারত। যার অধীনে বাংলাদেশের সন্ত্রাস দমন অথবা নিরাপত্তা বিঘিœত হবার আশংকা দেখা দিয়েছে মনে করলে ভারত সামরিক ভূমিকা পালন করতে পারবে। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে ‘সম্প্রীতি-২০১৬’ নামে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে দিল্লি। নবেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে এটি। এর মধ্যে যৌথ নৌ মহড়ার প্রস্তুতিও চলছে। এর আগে বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে ৭ রাজ্যে যাবার ব্যাপারে ট্রানজিটের চুক্তি কার্যকরে অবকাঠামো নির্মাণ অনেকটা শেষ করে এনেছে শেখ হাসিনা সরকার। সমুদ্র এলাকায় নজরদারি বাড়াতে মহেশখালি-কুতুবদিয়ায় এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, সুন্দরবনে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরিতে সম্পৃক্ততা এবং তেল-গ্যাসের ব্লক ইজারা দানের প্রকল্পগুলোতে ভারতের সামরিক ও নৌ পর্যবেক্ষণের নানা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এর বিপরীতে অনেকগুলো বাণিজ্যিক ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চীনা কোম্পানিকে দেয়া হয়েছে। তবে চীনা প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক ঢাকা সফরকালে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও এসব ব্যাপারে বাস্তব অগ্রগতি হচ্ছে ধীর গতিতে। চীনের বিনিয়োগ প্রস্তাবের বেশকটিতে ইতিমধ্যে দিল্লি থেকে আপত্তি জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত যৌথ সামরিক মহড়া সম্পন্ন করেছে নেপালের সাথে। ৩১ অক্টোবর থেকে ১৩ নবেম্বর পর্যন্ত চলে এই যৌথ সামরিক মহড়া। পার্বত্য অঞ্চলে সামরিক অভিযানের এই মহড়ার অনুষ্ঠানে ভারতের সেনা প্রধানও অংশ নেন।
দক্ষিণ এশিয়ার আরেক গুরুত্বপূর্ণ দেশ শ্রীলঙ্কার সাথে ‘মিত্র শক্তি ২০১৬’ নামে যৌথ সামরিক মহড়া শেষ করা হয়েছে গত ৬ নবেম্বর। ২৪ অক্টোবর এই মহড়া শুরু করা হয়েছিল। এই মহড়ায় প্রধানত নৌ যুদ্ধের প্রতি জোর দেয়া হয়েছে।
আফগানিস্তানের সাথে ভারতের যৌথ সামরিক মহড়া না হলেও দেশটির সাথে সামরিক যোগসূত্র বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। এর মধ্যে আফগানিস্তানকে উন্নত প্রযুক্তির হেলিকপ্টারসহ বেশকিছু সামরিক যান সরবরাহ করেছে দিল্লি।
কাউন্টার ইনসারজেন্সি ও কাউন্টার টেররিজম সংক্রান্ত জাতিসংঘের ম্যান্ডেটের আওতায় এসব সামরিক মহড়া করার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হলেও এর সাথে সাম্প্রতিক আঞ্চলিক উত্তেজনার একটি সম্পর্ক রয়েছে বলে দিল্লির সূত্রগুলো উল্লেখ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের আগে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক উত্তেজনায় বড় কোনো পরিবর্তন ঘটবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই এলাকার বড় কোনো সংঘাতের আশঙ্কা পরস্পর বিরোধি শক্তিসমূহের সামরিক সক্ষমতা বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন